কম বয়সে ভায়াগ্রা ব্যবহার কি সেফ?


 ভায়াগ্রা শুধুমাত্র বেশি বয়সে ব্যবহারের জন্য নয়। কম বয়সে যদি কারও ইরেকশন না হয়, তা হলে ভায়াগ্রা ব্যবহার করা সম্পূর্ণভাবে সেফ। বরং বয়স হলে অনেকে প্রেশার ইত্যাদি রোগের জন্য নানারকম ওষুধ খায়, তখন ভায়াগ্রা খাওয়ায় বিভিন্ন বিধিনিষেধ থাকে, কিন্তু কম বয়সে এ ধরনের কোনও সমস্যা থাকে না।

ভায়াগ্রা শুধুমাত্র বেশি বয়সে ব্যবহারের জন্য নয়। কম বয়সে যদি কারও ইরেকশন না হয়, তা হলে ভায়াগ্রা ব্যবহার করা সম্পূর্ণভাবে সেফ। বরং বয়স হলে অনেকে প্রেশার ইত্যাদি রোগের জন্য নানারকম ওষুধ খায়, তখন ভায়াগ্রা খাওয়ায় বিভিন্ন বিধিনিষেধ থাকে, কিন্তু কম বয়সে এ ধরনের কোনও সমস্যা থাকে না। তবে আমার আদৌ ভায়াগ্রার প্রয়োজন আছে কি না, বা নিলে কীভাবে, সেটা ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ না করে কখনওই নেওয়া উচিত নয়। সঙ্গে এটাও বলে রাখি, ভায়াগ্রা নিলে তা সেক্সুয়াল আর্জকে বাড়াবে বা পেনিস ভ্যাজাইনাতে বেশিক্ষণ রাখা যাবে, এমনটা কিন্তু একেবারেই নয়। এটা শুধুমাত্র তাদের জন্য, যাদের ইরেকশন যথেষ্ট হচ্ছে না। ইরেকশন না হলে পেনিট্রেশন হবে না, এই ওষুধে শুধু সেই কাজটুকু হয়। পরের কাজটুকু পরস্পরের আন্ডারস্ট্যান্ডিং, সহযোগিতা, আগ্রহের উপর নির্ভর করে। ইন্টারকোর্সের জন্য যথেষ্ট মাত্রায় ইরেকশন না হলে ডাক্তারের সঙ্গে কনসাল্ট করা উচিত, এর চিকিত্‌সা সম্ভব এবং এটা কোনও বড় রোগ নয়।

মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের যৌন চাহিদা কি বেশি?

এ ধরনের ধারণা তৈরি হওয়ার পিছনে একটা সামাজিক কারণ রয়েছে। সমাজে মেয়েদের নানাভাবে দমিয়ে রাখা হয়েছে এবং তার প্রকাশও বিভিন্ন। মেয়েদের এ ধরনের ইচ্ছে চেপে রাখতেই শেখানো হয়। বিপরীতে ছেলেরা মেয়েদের তুলনায় বাইরের জগতে মেশার জন্য অনেক বেশি ছাড় পায় এবং তারা নিজের ইচ্ছেটা সহজেই প্রকাশ করতে পারে। তা ছাড়া, মেয়েদের প্রেগন্যান্সির ভয়ও থাকে, যেটা ছেলেদের থাকে না। তাই মেয়েদের যৌন চাহিদা কম এটা বলা যায় না। তবে আজকাল স্টাডি অফ সেক্সুয়াল অ্যারাউজ়াল সম্পর্কে যেটা বলা হচ্ছে তা হল, ছেলেরা ইন্টারকোর্স করার আগে থেকেই এটা নিয়ে ভাবতে থাকে, মেয়েদের ক্ষেত্রে তা হয় না। কিন্তু ইন্টারকোর্স হলে তারা পুরোপুরি সেটা উপভোগ করে। ব্যাপারটা নিয়ে আগে থেকে ভাবা এবং তার জন্য প্ল্যান সাধারণত মেয়েরা করে না। আজকাল একেই বলা হচ্ছে নর্মাল ফিমেল অ্যাটিটিউড টু সেক্স।

সেক্স ও হোয়াইট ডিসচার্জের মধ্যে সম্পর্ক: 

মেয়েদের সাধারণভাবেই কিছুটা হোয়াইট ডিসচার্জ হয়। এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই, কারণ, নানা শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়া, হরমোনাল ফাংশনের জন্য এমনটা হয়। আসলে মেয়েদের শরীরে প্রত্যেক মাসেই হরমোনে কিছু পরিবর্তন আসে এবং প্রতি পিরিয়ডিক্যাল সাইকেলে এই চেঞ্জটা হয়। দু’টো পিরিয়ড্সের মাঝামাঝি ও পিরিয়ডসের ঠিক আগে ডিসচার্জের পরিমাণ বেড়ে যায়। এ ছাড়া, বাকি সময়ও কিন্তু ডিসচার্জ হয়, যেটা সম্পূর্ণ নর্মাল। এ প্রসঙ্গে বলে রাখি, এই ডিসচার্জ কিন্তু ভ্যাজাইনাল প্যাসেজের সুরক্ষাকবচ। এ ছাড়াও, ইন্টারকোর্সের সময় বা কোনও কারণে উত্তেজনা হলে ভ্যাজাইনা থেকে এক ধরনের স্লিপারি ডিসচার্জ হয়, যেটা শরীরে স্বাভাবিকভাবেই থাকে ন্যাচারাল লুব্রিক্যান্ট হিসেবে। ভ্যাজাইনার মধ্যে থাকা গ্ল্যান্ডগুলো থেকে এই সিক্রিয়েশন হয়, যা কিনা ইন্টারকোর্সের সময় লুব্রিক্যান্টের কাজ করে এবং ইন্টারকোর্সের সময় এর কারণেই সহজে পেনিস ভ্যাজাইনার ভিতরে প্রবেশ করতে পারে। তবে এই ডিসচার্জের পরিমাণ (তা ইন্টারকোর্স বা উত্তেজনা, যে কারণেই হোক) সবসময় এক নাও হতে পারে। শারীরিক মিলনের সময় কোনও কারণে ভাল রকম উত্তেজনা না হলে অপেক্ষাকৃত কম সিক্রেশন হয়। আর লুব্রিক্যান্ট কম থাকলে ইন্টারকোর্সে অস্বস্তি হতে পারে। তবে এটা জানিয়ে রাখি, কম ডিসচার্জ হওয়াটা কিন্তু কোনও অসুখ নয় বা এতে কোনও অ্যাবনর্মালিটি নেই। প্রত্যেক সাইকেলে ডিসচার্জ যেমন কমে বা বাড়ে, তেমনই তার পরিমাণও এক-একজনের ক্ষেত্রে এক-একরকম হয়। এর মাত্রা নির্ভর করে এক্সাইটমেন্টের উপর।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন