গত ৬২ বছরের মধ্যে দেশে এবার রেকর্ড লবণ উৎপাদন হয়েছে।


 গত ৬২ বছরের মধ্যে দেশে এবার রেকর্ড লবণ উৎপাদন হয়েছে। তারপরও ক্রমাগত চাহিদা বাড়ায় লবণ সংকটের আশঙ্কা করছে শিল্প মন্ত্রণালয়। যে কারণে লবণ আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে চাষি, মজুতদার ও মিল মালিকদের মধ্যে। এ সিদ্ধান্ত স্বয়ংসম্পূর্ণ এ খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন কেউ কেউ। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ২২ লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন হয়েছে। বাণিজ্যিকভাবে লবণ চাষে গত ৬২ বছরে কখনো এত লবণ উৎপাদন হয়নি। সবশেষ ২০২২ সালে সবচেয়ে বেশি ১৮ লাখ ১৫ হাজার ১৫৬ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন হয়েছিল। এরপরও লবণের উৎপাদন চাহিদার তুলনায় কম। এ কারণে মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) ২৬৪ প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ টন লবণ আমদানির অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আমদানির কারণ হিসেবে বলা হয়েছে ‘প্রাকৃতিক কারণে এবার লবণ উৎপাদন মৌসুম অন্তত ১৫ দিন পরে শুরু হয়েছে। পূর্ব সতর্কতা হিসেবে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’ এ সিদ্ধান্তে ক্ষোভে ফুঁসছেন লবণ চাষিরা। তারা বলছেন, মাঠ পর্যায়ে চাষি ও মজুতদারদের কাছে এবং মিলে বর্তমানে যে লবণ মজুত আছে, তাতে ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। এর মধ্যে নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে নতুন উৎপাদন মৌসুম। চাষিরা উৎপাদনের প্রস্তুতিও নিচ্ছেন। এ পরিস্থিতিতে আমদানির অনুমতির কারণে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, যা দীর্ঘ মেয়াদে এ শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কক্সবাজার লবণ চাষি ও ব্যবসায়ী সংগ্রাম পরিষদের দাবি, বর্তমানে প্রায় পাঁচ লাখ টন লবণ মজুত রয়েছে। তাই ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনো ঘাটতি হওয়ার শঙ্কা নেই। বর্তমানে কক্সবাজারে প্রতি মণ লবণের দাম ৫৫০ টাকার আশপাশে। লবণের বাজার ঠিক থাকায় এবার চাষের জমি এবং চাষিও বাড়তে পারে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন