মুক্তা ঝরানো হাসির তিন উপায়


হাস্যোজ্জ্বল মুখের প্রতি সবারই রয়েছে দুর্বলতা। মনভোলানো হাসিতে অনেক দুরুহ কাজ হয়ে যায় সহজ।

মিষ্টি ও শুভ্র হাসিতে মানুষের মুখ হয়ে ওঠে মায়াময়। কিন্তু ঝকঝকে দাঁত ছাড়া কি মনভোলানো হাসি সম্ভব? দাঁতই যদি হয় হলদেটে তাহলে কেমন দেখাবে মুখের হাসি!

সহজ তিনটি উপায়ে আপনার দাঁত হয়ে উঠতে পারে আরও সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর। সুন্দর দাঁতের অনাবিল হাসিতে আপনি মনজোগাতে পারবেন প্রিয়জনের।

চলুন জেনে নেওয়া যাক উপায় তিনটি।

এক.

বেকিং সোডা এবং লেবুর রস

বেকিং সোডাতে উপস্থিত সোডিয়াম বাইকার্বনেট দাঁতকে খুব ভালোমতো স্ক্রাব করে। এতে করে দাঁতের হলদেটে ভাব সম্পূর্ণরূপে দূর হয়ে যায়। এটি এসিডের একদম বিপরীত একটি উপাদান। তাই আপনি যদি বেশ অ্যাসিডিক কোনো খাবারও খান তবে বেকিং সোডা মুখের পিএইচ ব্যালান্স রক্ষা করতে সাহায্য করবে।

যা প্রয়োজন:

কয়েক চা-চামচ বেকিং সোডা

মিহি পেস্ট বানানোর জন্যে যথেষ্ট পরিমাণ লেবুর রস

টুথব্রাশ

কর্মপ্রণালি

কয়েক চা-চামচ বেকিং সোডার সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে মিহি একটি পেস্ট বানান। প্রথমে আপনার দাঁত পরিষ্কার তোয়ালে কিংবা পেপার তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন। এবার টুথব্রাশে করে মিশ্রণটি অল্প একটু নিন এবং দাঁত মাজুন।

এক মিনিট পর্যন্ত রেখে দিন, অতঃপর ধুয়ে ফেলুন।

দুই.

স্ট্রবেরি, লবণ এবং বেকিং সোডা স্ক্রাব

স্ট্রবেরিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে, যা দাঁতের প্লেক ভাঙতে সাহায্য করে। আর প্লেকের কারণেই দাঁতে হলদেটে ভাব দেখা দেয়। স্ট্রবেরির মধ্যকার ম্যালিক এসিড যেকোনো দাগ দূর করতে সাহায্য করে।

যা প্রয়োজন

১-৩টি বড় স্ট্রবেরি

এক চিমটি লবণ

আধা চা-চামচ বেকিং সোডা

কর্মপ্রণালি

স্ট্রবেরিগুলো ভালোমতো পিষে ভর্তার মতো তৈরি করুন। এতে এক চিমটি লবণ এবং আধা চা-চামচ বেকিং সোডা মেশান। প্রথমে দাঁত পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে নিন এবং অতঃপর ব্রাশে মিশ্রণ লাগিয়ে দাঁত মেজে নিন। পাঁচ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। রাতে ঘুমানোর পূর্বে করতে পারেন এ কাজটি।

তিন.

নারিকেল তেলের রিন্স

শুনতে অবাক শোনালেও এটি বেশ উপকারী। মুখে নারিকেল তেল নিয়ে কুলকুচি করুন। এতে করে মুখের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়ে যায় এবং হলদেটে ভাব দূর করে। শুধু তাই নয়, নিঃশ্বাস সতেজ রাখার পাশাপাশি মুখের ভেতরের স্বাস্থ্যও সুস্থ রাখবে।

যা প্রয়োজন

এক টেবিল-চামচ নারিকেল তেল

কর্মপ্রণালি

সকালে দাঁত মাজার আগে এক টেবিল চামচ নারিকেল তেল মুখে নিয়ে রেখে দিন, ডানে-বামে ঘোরান পনেরো মিনিট। এরপর পানি দিয়ে কুলি করে ফেলুন। তারপর দাঁত মাজুন।

এসব ঘরোয়া কৌশল অবলম্বন করলেই আপনি রাতারাতি ঝকঝকে দাঁত পেয়ে যাবেন না। সপ্তাহে অন্তত তিনদিন এসব পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। যতটুকু সম্ভব কোমল পানীয়, ঝাল ও মসলাযুক্ত খাবার বাদ দিতে হবে খাদ্যতালিকা থেকে। তার বদলে যোগ করুন শাকসবজি ও ফলমূল, হারবাল চা, আঁশ জাতীয় খাবার।

সূত্র:- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন