ছেলেদের মধ্যবয়সী নারীদের প্রতি ঝোঁক বেশি থাকে কেন?


ছেলেরা কেন তাদের চেয়ে মধ্যবয়স্ক নারীদের প্রতি একটু বেশি আকৃষ্ট হয়? এমন অনেকেই আছেন যারা মধ্যবয়সী নারীদের প্রতি ঝোঁক বেশি থাকে কেন এই

প্রশ্নের উত্তর এখনও খুঁজে পাননি। তবে বিশেষজ্ঞরা ঠিকই এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করেছেন। এবং এর বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক কারণ ও বের করেছেন।  সেরকমই কয়েকটি কারণ সাজিয়ে দেওয়া হল এই প্রতিবেদনে।চলুন শুরু করি।

অভিজ্ঞতা:

একজন মধ্যবয়স্ক নারী জীবনে একাধিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন তাই তাঁর অভিজ্ঞতাও অনেক। জীবনের ছোটখাট সবধরনের সম্পর্কের অভিনয় তিনি নিখুঁতভাবে বিবেচনা করতে পারেন। এটা কিভাবে সমাধান করা যায় যায় সেটাও তিনি ভালো জানেন।মধ্যবয়স্ক নারী যথাসময়ে আবেগতাড়িত হয়ে ওঠেন এবং পুরুষটির সঙ্গে সত্যিকার গাঢ় সম্পর্ক স্থাপন করার চেষ্টা করেন। তিনি প্রিয় মানুষটির কাছে নিজেকে এমন ভাবে মেলে ধরেন যাতে সেই মানুষটি তাকে সহজভাবে পড়তে পারে।ফলে তিনি একজন ভালো মানুষ, একজন ভালো বন্ধু, এমনকি দীর্ঘ চলার পথে ভালো একজন সঙ্গী হতে পারেন।

যৌনতা:

একজন মধ্যবয়স্ক নারী শয্যায় যথেষ্ট অভিজ্ঞ, পুরুষসঙ্গীটিকে একজন মধ্যবয়স্ক নারী চরম মুহূর্তের চাওয়া-পাওয়ার কথা বলতে দ্বিধা করে না। এই খোলামেলা সততাই দুজনকে সুখের চরম পর্যায়ে নিয়ে যায়। আমরা যদি কাউকে ‘সেক্সুয়ালি স্যাটিসফাইড’ বলি সেটা অবিশ্বাস্যভাবে সেই ব্যক্তিকে আত্মবিশ্বাসী ও ভেতর থেকে সতেজ করে তোলে। মধ্যবয়স্ক নারীর এই ধরনের গুণাবলী একজন পুরুষকে সহজেই সন্তুষ্ট করে।অন্যান্য বড় কারণ ছাড়াও এই কারণে মধ্যবয়স্ক নারীর প্রতি পুরুষেরা বেশি আকৃষ্ট হয়। এ নারীরা বিছানায় অত্যাধিক প্লেফুল, রোমাঞ্চকর হন। পুরুষটির মধ্যে নিজেকে সম্পূর্ণ উজাড় করে দিতে পারেন।

আরও পড়তে পারেন:- নারী ও পুরুষের যৌনাঙ্গ সম্পর্কিত কিছু তথ্য

স্বাধীনতা:

মধ্যবয়স্ক নারীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোন ভনিতা ছাড়াই খুশি হন। একজন পুরুষকে তাঁর গড়েপিঠে নেওয়ার দরকার পড়ে না।তিনি কখনওই তার ওপর নির্ভর করেন না, এমনকি তার নিজের ডিনার অথবা কফির বিল নিজেই দেওয়ার মানসিকতা রাখেন। মানসিক এবং আর্থিক স্বাধীনতা একটি মানুষের জীবনের গুরুত্বপুর্ণ অর্জন।

দায়ীত্বশীলতা:

একজন মধ্যবয়স্ক নারী নিজেকে গড়ে তোলার জন্য যথেষ্ট পরিশ্রম করেন। তারা কী চান সেটা তারা ভালো করেই জানেন তাই তাদের লক্ষ্য স্থির ও স্বচ্ছ থাকে।

মধ্যবয়স্ক নারীই পারে একজন মানুষকে জীবনের আঁকাবাঁকা পথ চেনাতে, আস্থা তৈরি করতে, ওপরে উঠার প্রবল ইচ্ছাশক্তি তৈরি করতে এমনকি প্রবল আত্মসম্মানবোধ তৈরি করতে। জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি একটি মানুষকে কল্পনার জগতে ভেসে বেড়াতে নয়, জীবনের অমোঘ বাস্তবতা শেখাতে পারেন।

আত্মবিশ্বাস:

একজন মধ্যবয়স্কা নারী এটা ভালো করেই উপলব্ধি করতে পারেন যে তারা অন্যদের চেয়ে আলাদা। তিনি নিজের সম্পর্কে ভালোভাবেই জানেন। আর তাই তার ভেতরটা আত্মবিশ্বাসে পরিপূর্ণ থাকে। এই ভারসাম্য ও আত্মপ্রত্যয়ী মনোভাবই তাকে ভেতর থেকে তীব্র আবেদনময়ী ও আকর্ষণীয় করে তোলে।আত্মবিশ্বাসী নারীরাই পুরুষের কাছে কাম্য। আত্মবিশ্বাসী নারীরা ছকবাঁধা নিয়মে চলতে পছন্দ করে, তারা নিজের জগতে কখনওই সন্ত্রস্ত হন না। নারীর এই দৃঢ় রূপ ও আবেদনময়ী চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে ছেলেরা মুগ্ধ হয়।

আরও পড়তে পারেন:-যেসব পুরুষ যৌনতায় অজ্ঞ সেই সব পুরুষদের জন্য ৫টি টিপস

সততা:

একজন মধ্যবয়স্ক নারী পুরুষকে বিশ্বাস এবং সততার স্তরগুলো ভালোভাবে শিখিয়ে নিতে পারেন। প্রেম, ভালোবাসা, বিয়ে যে কোনও  ধরনের সম্পর্কেই শ্রদ্ধা একটি গুরুত্ত্বপূর্ণ ব্যাপার। মধ্যবয়স্ক নারী তাঁর দৈনন্দিন জীবনে অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দেন।

তার মধ্যে সততা, বিশ্বাস এবং শ্রদ্ধাবোধ প্রবল থাকে। একজন মধ্যবয়স্ক নারী কখনোই একাধিক পুরুষের প্রতি কামনা রাখেন না। যে পুরুষটি অন্য একাধিক নারীদের সাথে ডেট করছে তাঁর প্রতি এ নারীরা কখনোই আগ্রহ প্রকাশ করেন না।

পারস্পরিক বোঝাপড়া:

একে অপরের মধ্যে যদি বোঝাপড়া ভালো না হয় তাহলে সম্পর্কের শুরুতেই হোঁচট খেতে হয়। তীব্র আগ্রহ মুখ থুবড়ে পড়ে। সম্পর্কের মধ্যে বোঝাপড়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। অর্থময় বোঝপড়া সম্পর্ককে আনন্দময় করে তোলে।

আর এটা গড়ে ওঠে মধ্যবয়স্ক নারীর জীবনের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমে। পারস্পরিক কথোপকথন জীবনের গল্পকে থামিয়ে দিবে না, বরং জীবনের গতিকে বাড়িয়ে দেবে। পরস্পরকে ভালো করে বুঝে ওঠার পথ তৈরি করে দেবে।

যে পুরুষটি শুধু সেক্স এবং একটু মুগ্ধতার চোখে তাকানোর জন্য অপেক্ষা করতো সেই পুরুষটির মধ্যেও এই নারীর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জেগে ওঠে।   সূত্র:- আপনার ডক্টর

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন