
শীতকালে বাজারে হরেক রকম মৌসুমি সবজির সমাহার থাকে। শুধু শীতকালে নয়, সব ঋতুতেই সুস্থ থাকতে শাক-সবজির বিকল্প নেই। সারা বছর রান্নার স্বাদ বাড়াতে বা শেষ পাতে চাটনি খেতে লাল টমেটো খাওয়া হয় তবে শীতকালে লাল টমেটোর বদলে অনেকেই পছন্দ করেন সবুজ টমেটো। সবুজ টমেটো রান্নায় স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি ভালো রাখে স্বাস্থ্যও।
কাঁচা টমেটোর জাদুকরি গুণ
১. ২৪০ গ্রাম কাঁচা টমেটোয় আছে ১৫ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন কে এবং ৪৫ মিলিগ্রাম ফসফেট। এ দুটি উপাদান বাতের ব্যথা এবং শীতকালে হাড়ের ক্ষয়রোধ করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
২. ভিটাভিন সি ও ই সমৃদ্ধ কাঁচা টমেটো শরীরে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। দাঁত ও ত্বকের জন্য বেশ উপকারী সবুজ টমেটো।
৩. কাঁচা টমেটোয় থাকা কিউমেরিক ও ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড কার্সিনোজের প্রভাব থেকে শরীরকে রক্ষা করে। এ ছাড়াও ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা খানিক কমে।
৪. টমেটোতে থাকা লাইকোপিন নামক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হৃদযন্ত্রকে ভালো রাখে। ত্বক ভালো রাখে। এ ছাড়াও লাইকোপেন প্রস্টেট বা পেটের ক্যানসার রোধেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
৫. কাঁচা টমেটোতে থাকা ভিটামিন বি ও পটাশিয়াম শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি রক্তচাপকেও স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
৬. কাঁচা টমেটোয় থাকা ভিটামিন বি ও পটাশিয়াম শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। সেই সঙ্গে রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। যাদের পরিবারে হাই কোলেস্টেরল ও ব্লাড প্রেসার রোগের ইতিহাস রয়েছে তারা আজ থেকেই কাঁচা টমেটো খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন আয়ু বাড়বেই বাড়বে!
৭. কাঁচা টমেটোতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন-এ। চুলের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধিতে ভিটামিন-এ-এর কোনো বিকল্প নেই। তাই দীর্ঘদিন যদি চুলকে সুন্দর রাখতে চান, তাহলে কী করণীয়, তা নিশ্চয় আর আলাদা করে বলে দিতে হবে না। দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতেও ভিটামিন-এ বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৮. একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, বীজসহ টমেটো খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা একেবারে শূন্যে এসে দাঁড়ায়।
সূত্র:- সুখবর বাংলা
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন