
হাঁচিতে প্রস্রাব ঝরলে করণীয় - ছবি- সংগৃহীত
হাঁচি দিলে ইউরিন লিক হয় (প্রস্রাব ঝরে) এটাকে আমরা বলি ‘স্ট্রেস ইনকন্টিনেন্স’। মানে যে কোনো স্ট্রেসে (মানসিক চাপ), যখন পেটের প্রেসার বেড়ে যায়, তখন যে জিনিসটা আমাদের প্রস্রাবের থলি থেকে প্রস্রাবকে ধরে রাখে, সেটা লুজ হয়ে যাচ্ছে। এ জন্য একটু করে ইউরিন লিক হয়ে যায়।
স্ট্রেস ইনকন্টিনেন্স’ প্রতিটি মেয়ের জীবনে দেখা যায়। শতকরা ৫০ থেকে ৬০ ভাগ মেয়ে তার পুরো লাইফে, প্রেগনেন্সির সময়, না হয় ডেলিভারির পর পর, না হয় বৃদ্ধ বয়সে, নয়তো যারা খুব মোটাসোটা রোগী কিংবা যাদের অনেক কাশি হয়, তারা লাইফের কোনো না কোনো সময় এই সমস্যার মধ্য দিয়ে যায়।
এজন্য প্রথম ট্রিটমেন্ট হচ্ছে ব্যায়াম। কিছু পেলভিক ফ্লোর এক্সারসাইজ আছে সেগুলো করতে হবে। পাশাপাশি যদি কেউ মোটা হয়ে থাকে তাহলে তার ওজন কমাতে হবে। রেগুলার ব্যায়াম করতে হবে। আর যারা অনেকদিন ধরে কাশিতে ভোগে তাদের কাশির ট্রিটমেন্ট ঠিকমতো নিতে হবে।
আর কারো যদি কাফ ভেরিয়েন্ট অ্যাজমা থাকে, তাহলে সে ক্ষেত্রে কাশি কন্ট্রোলে রাখতে হবে। এজন্য যে ধরনের মেডিসিন লাগে সেটা নিতে হবে। আর খাদ্যাভ্যাসের মধ্যে কারো যদি চা, কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকে তাহলে সেগুলো খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে। পরিমিত পরিমাণে পানি খেতে হবে।
এসব মেনে চলার পাশাপাশি পেলভিক ফ্লোর এক্সারসাইজ করতে হবে। এই এক্সারসাইজের মাধ্যমে মাসলগুলো স্ট্রেংথ হয়। ফলে যদি এবডোমিনাল প্রেসার বাড়েও, তখন এই মাসেল গুলোর জন্য ইউরেথ্রা থেকে ইউরিন লিক হয় না। আর এই এক্সারসাইজগুলো একটানা তিন মাস করতে হবে।
চার সপ্তাহ পর ফলোআপে আমরা বুঝতে পারি কী অবস্থা, উন্নতি কেমন। কিন্তু টানা তিন থেকে চার মাস এক্সারসাইজ করলে আমরা নেট রেজাল্ট পাবো। আর এসব নিয়ম মানার পরও যদি না কমে তাহলে সে ক্ষেত্রে মেডিসিন আছে।
আর একটা জিনিস বলা জরুরি, স্ট্রেস ইনকন্টিনেন্স বা যেকোন ইনকন্টিনেন্সের ক্ষেত্রে আমাদের ইউরিন অ্যানালাইসিস করে শিওর হতে হবে, যে প্রস্রাবে ইনফেকশন বা কোনো সমস্যা আছে কিনা। এজন্য ইউরিন রুটিন টেস্ট এবং কালচার টেস্ট করে নিতে হবে এবং ইনফেকশন ফ্রি থাকতে হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন