প্রতিবেশী ও প্রতিবেশীর অধিকার বলতে কী বুঝায়? সম্পর্ক রক্ষার গুরুত্ব ফজিলত এবং প্রতিবেশীকে কষ্ট দেওয়ার ভয়াবহ পরিণাম।

ভূমিকা : আলহামদুলিল্লাহ
ইসলামী শিক্ষার সঠিক লক্ষ্য-উদ্দেশ্য হচ্ছে ‘সত্যবাদী মুমিন’ ‘রক্ষণশীল প্রতিনিধি’ এবং ‘দৃঢ়-বিশ্বাসী’ মানুষ তৈরি করা আল্লাহর পরিচয় জানা ও আল্লাহর সাথে সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে ইহকালীন ও পরকালিন মুক্তি অর্জন করা। এ লক্ষ্য-উদ্দেশ্য অর্জন করা একমাত্র পরিতৃপ্ত ঈমানী শক্তি দ্বারাই সম্ভব। প্রতিনিধিত্বমূলক সর্বপ্রকার দায়িত্বশীলতার মাধ্যমে সামনের দিক এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রত্যয়ী হতে হবে। এছাড়াও সঠিক অনুভূতি, বাস্তবধর্মী কর্ম পদ্ধতি, হৃদয়ের সাহস, আমানত ও বিশ্বাসের দৃঢ়টা এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে আবশ্যিক উপকরণ। কাজের দক্ষতা এবং সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন ছাড়া এ লক্ষ্যে পৌঁছা কোনো ক্রমেই সম্ভব নয়।মানুষ একে অপরের সাথে বিভিন্ন সম্পর্কে জড়িত। মানুষের মাঝের এই সম্পর্কের নাম হচ্ছে ‘আত্মীয়তা প্রতিবেশি। পরস্পরের সাথে জড়িত মানুষ হচ্ছে একে অপরের ‘আত্মীয়’। ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজে আত্মীয়তার সম্পর্ক সর্বতোভাবে জড়িত। আত্মীয় ছাড়া এ জীবন অচল। আত্মীয়দের সহযোগিতা, সহমর্মিতা ও ভালবাসা নিয়েই মানুষ এ পার্থিব জীবনে বেঁচে থাকে। আর আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় না থাকলে জীবন হয়ে যায় নীরস, আনন্দহীন, একাকী ও বিচ্ছিন্ন। তাই পার্থিব জীবনে আত্মীয়তা প্রতিবেশির সাথে সম্পর্ক রক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম।
এবং প্রতিবেশীকে কষ্ট দেওয়ার ভয়াবহ পরিণাম
এই অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কেই আলোচ্য নিবন্ধে আলোকপাত করা হবে ইনশাআল্লাহ।
প্রতিবেশির হক সম্পর্কে পবিত্র কোরআনের বর্ননাঃ

1️⃣এক প্রতিবেশীর জন্য তার আরেক প্রতিবেশীর উপর যেসব অধিকার পুরাপুরিভাবে আদায় করা এবং একে অপরের সাথে যেসব আদব রক্ষা করে চলা ওয়াজিব, মুসলিম ব্যক্তি সেগুলোর যথাযথ স্বীকৃতি প্রদান করে; আর এটা এ জন্য যে, আল্লাহ তা‘আলা বলেছেনঃআর তোমরা পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতীম, অভাবগ্রস্ত, নিকট প্রতিবেশী ও দুর-প্রতিবেশীদের প্রতি সদ্ব্যবহার করো।[সূরা নিসাঃ৩৬]
2️⃣আল্লাহ্‌ তাআলা বলেন:এবং যারা আল্লাহ্‌ যা সংযুক্ত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তা সংযুক্ত রাখে (আত্মীয়তা সম্পর্ক বজায় রাখে), নিজেদের প্রভুকে ভয় করে ও কঠিন হিসাবের আশংকায় থাকে।"[সূরা আর-রাদ, আয়াত: ২১]
3️⃣যারা আল্লাহ্ তা‘আলাকে দেয়া দৃঢ় অঙ্গীকার ভঙ্গ করে, যে সম্পর্ক অক্ষুণ্ণ রাখতে আল্লাহ্ তা‘আলা আদেশ করেছেন তা ছিন্ন করে এবং পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করে তাদের জন্য রয়েছে লা’নত ও অভিসম্পাত এবং তাদের জন্যই রয়েছে মন্দ আবাস’’।[ সূরা রা’দ্ :২৫]
4️⃣হে মানুষ! তোমরা তোমাদের রবের তাকওয়া অবলম্বন কর যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন ও তার থেকে তার স্ত্রী সৃষ্টি করেছেন এবং তাদের দুজন থেকে বহু নর-নারী ছড়িয়ে দেন; আর তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর যাঁর নামে তোমরা একে অপরের কাছে নিজ নিজ হক্‌ দাবী কর এবং তাকওয়া অবলম্বন কর রক্ত-সম্পর্কিত আত্মীয়ের ব্যাপারেও নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের উপর পর্যবেক্ষক [সূরা নিসাঃ১]।
5️⃣মহান আল্লাহ আরো বলেন স্মরণ কর, যখন আমরা বানী ইসরাঈলের অঙ্গীকার নিয়েছিলাম যে, তোমরা আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো ইবাদত করবে না, পিতামাত, আত্মীয়-স্বজন, পিতৃহীন ও দরিদ্রদের প্রতি সদয় ব্যবহার করবে’[সূরা বাক্বারাহঃ৮৩]
প্রতিবেশীর কয়েকটি স্তর রয়েছে একেকটি স্তর অন্য স্তর হতে বেশী উন্নত।সবচেয়ে বড় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী হলো মুসলিম প্রতিবেশী, তার পরে যিনি বেশী ইসলামের বিধি বিধান মানেন, তারপরে যারা যতটুকু ইসলামের বিধান মানেন সেই অনুপাতে তাদের স্তর বিন্যাস করা হবে। ইয়াহূদীদের সাথেও প্রতিবেশীর সম্পর্ক স্থাপন হতে পারে। ত্ববারানী বর্ণনা করেছেন প্রতিবেশী তিন শ্রেণীর। একজন হলো যার হক রয়েছে অথচ সে মুশরিক, তার শুধু প্রতিবেশীর হক রয়েছে। দ্বিতীয় শ্রেণীর প্রতিবেশী হলো যার দু’টি হক রয়েছে, তিনি হলেন মুসলিম, তার দু’টি হক হলো একটি প্রতিবেশীর হক আরেকটি ইসলামের হক। আরেক ধরনের প্রতিবেশী হলো, যার তিনটি হক রয়েছে একটি হলো ইসলামের হক, আরেকটি প্রতিবেশীর হক, আরেকটি আত্মীয়ের হক। ইমাম কুরতুবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ ‘প্রতিবেশী’ শব্দটি ব্যবহার করা হয় যারা আশেপাশে রয়েছে, আর বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে বাড়ির বা ঘরের লোককেই প্রতিবেশী বলা হয়ে থাকে। (ফাতহুল বারী ১০ম খন্ড, হাঃ ৬১০৪)
প্রতিবেশীর হক রক্ষা করার ব্যাপারে জিবরীল আমীন (আ.) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বার বার প্রতিবেশীর হাকের ব্যাপারে উপদেশ দিয়েছেন

1️⃣আয়িশাহ্ ও ইবনু ‘উমার (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ জিবরীল (আ.) সর্বদা আমাকে প্রতিবেশীর অধিকার পূর্ণ করার উপদেশ দিতে থাকতেন। এমনকি আমার ধারণা হয়েছিল যে, তিনি প্রতিবেশীকে উত্তরাধিকারী ঠিক করে দেবেন। [সহীহ : বুখারী ৫৬৬৯, মুসলিম ১৪১-২৬২৫] তিরমিযী ১৯৪৩, আবূ দাঊদ ৫১৫২, সহীহুল জামি‘ ১০৫৬৫,]
2️⃣আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃরাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ আল্লাহর নিকট সেই সঙ্গী উত্তম যে নিজ সঙ্গীদের নিকট উত্তম। আল্লয়হর নিকট সেই প্রতিবেশী উত্তম যে নিজ প্রতিবেশীদের নিকট উত্তম[তিরমিযী, আবু দাউদ, হাকিম, দারিমী।আদাবুল মুফরাদ, হাদিস নং ১১৪]
3️⃣নাফে ইবনুল হারিস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাঃ) বলেনঃ একজন মুসলমানের জন্য প্রশস্ত বাসভবন, সৎ প্রতিবেশী ও আরামদায়ক বাহন সৌভাগ্যের নিদর্শন[আবু দাউদ, হাকিম।
আদাবুল মুফরাদ, হাদিস নং ১১৫ হাদিসের মান: সহিহ লিগাইরিহি]
এক মুসলিম অপর মুসলিমের ভাই সুতরাং কোন অবস্থাতেই সম্পর্ক ছিন্ন করা যাবেনা

1️⃣আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: তোমরা পরস্পর বিদ্বেষ ভাবাপন্ন হয়ো না, হিংসা করো না এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন থেকো না। আর তোমরা সবাই আল্লাহর বান্দা ও পরস্পর ভাই-ভাই হয়ে যাও। কোন মুসলিমের জন্য বৈধ নয় যে, সে তার ভাই থেকে তিন দিনের অধিক সম্পর্ক ছ্ন্নি হয়ে থাকবে।[আধুনিক প্রকাশনী- ৫৬৩৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৩৪ সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬০৭৬]
2️⃣আবূ আইউব আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন লোকের জন্য বৈধ নয় যে, সে তার ভাই-এর সাথে তিন দিনের অধিক এমনভাবে সম্পর্ক ছিন্ন রাখবে যে, দু’জনে দেখা হলেও একজন এদিকে আরেকজন ওদিকে মুখ ঘুরিয়ে রাখবে। তাদের মধ্যে যে আগে সালাম দিবে, সেই উত্তম লোক।[৬২৩৭; মুসলিম ৪৫/৮, হাঃ ২৫৬০, আহমাদ ২৩৬৫৪] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৬৩৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৩৫)সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬০৭৭]
যে ব্যক্তি নিজ প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয় সে সত্যিকারের মু’মিন নয়ঃ

1️⃣আবূ শুরাইহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন
আল্লাহ্’র কসম! সে ব্যক্তি মু’মিন হতে পারে না। আল্লাহ্’র কসম! সে ব্যক্তি মু’মিন হতে পারে না। আল্লাহ্’র কসম! সে ব্যক্তি মু’মিন হতে পারে না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করা হলো: হে আল্লাহ্’র রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! সে ব্যক্তি কে? তিনি বললেন: যার অনিষ্ট থেকে তার প্রতিবেশী নিরাপদ নয়’’।[সহীহ বুখারী ৬০১৬ ইঃফাঃ৫৪৭৮ সহীহ মুসলিমঃ১/১৮ হাদিস নাম্বারঃ৪৬ মুসনাদে আহমেদঃ৮৪৬৪]
2️⃣আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলার নিকট সে ব্যক্তি উত্তম বন্ধু, যে তার নিজের বন্ধুর কাছে উত্তম এবং আল্লাহ তা‘আলার নিকট উত্তম প্রতিবেশী সে ব্যক্তি, যে তার নিজের প্রতিবেশীর কাছে উত্তম। [তিরমিযী ও দারিমী; আর ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, এ হাদীসটি হাসান গরীব।[সহীহ : তিরমিযী ১৯৪৪, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ১০৩০, দারিমী ২৪৩৭, সহীহুল জামি‘ ৫৫৮১, সহীহ আত্ তারগীব ২৫৬৮]
3️⃣আল্লাহর রসূল (সাঃ) বলেন, ‘‘তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না মু’মিন হয়েছ; আর ততক্ষণ পর্যন্ত মু’মিন হতেও পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না আপোসে সম্প্রীতি কায়েম করেছ। আমি কি তোমাদেরকে এমন এক কাজের সংবাদ দেব না, যা করলে তোমাদের আপোসে সম্প্রীতি কায়েম হবে? তোমরা আপোসের মধ্যে সালাম প্রচার কর।[মুসলিম আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা হা/৫৪]
প্রতিবেশি বা কোন মুসলিমের সাথে হাসি মুখে কথা বলা ও নানাভাবে সহযোগিতা করা সদকাহঃ

1️⃣মহান আল্লাহ বলেন আমার বান্দাদের বল, যারা ঈমান এনেছে, যেন তারা ছালাত কায়েম করে এবং আমি তাদেরকে যে রিয্ক দিয়েছি তা হতে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, ঐ দিন আসার পূর্বে যে দিন কোন বেচা-কেনা থাকবে না এবং থাকবে না বন্ধুত্বও[সূরা ইবরাহীম : ৩]
2️⃣তাদের গোপন পরামর্শের অধিকাংশে কোন কল্যাণ নেই। তবে (কল্যাণ আছে) যে নির্দেশ দেয় ছাদাক্বাহ কিংবা ভালো কাজ অথবা মানুষের মধ্যে মীমাংসার। আর যে তা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে করবে তবে অচিরেই আমি তাকে মহা পুরস্কার দান করব’[সূরা আন-নিসা : ১১৪]
3️⃣রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, আদম সন্তানের দেহে তিনশত ষাটটি হাড় বা জোড় বা গ্রন্থি রয়েছে। এগুলোর প্রতিটির জন্য প্রত্যেক দিন ছাদাক্বা রয়েছে। প্রতিটি উত্তম কথাই ছাদাক্বা। এক ভাইয়ের পক্ষ হ’তে অন্য ভাইকে সাহায্য করা ছাদাক্বা। এক ঢোক পানি পান করানো ছাদাক্বা। পথ থেকে কষ্টদায়ক বস্ত্ত সরিয়ে দেওয়াও ছাদাক্বা’[আল-আদাবুল মুফরাদ হা/৪২২
সিলসিলা ছহীহাহ হা/৫৭৬]
4️⃣আবূ উমামাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, সৎ কাজ পাপের কাছে ধরাশায়ী হওয়া থেকে রক্ষা করে। গোপন ছাদাক্বাহ আল্লাহর ক্রোধকে মিটিয়ে দেয় এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক অটুট রাখা আয়ুকে বৃদ্ধি করে’।[ত্বাবারাণী, আল-মু‘জামুল কাবীর, হা/৮০১৪, সনদ হাসান।]
5️⃣উক্ববাহ ইবনু ‘আমের (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, প্রতিটি মানুষ তার ছাদাক্বাহর ছায়ায় থাকবে। যতক্ষণ না মানুষের মাঝে ফায়ছালার কাজ শেষ হয়। ইয়াযীদ বলেন, আবুল খাইর মারছাদ (রাহিমাহুল্লাহ) প্রতিদিন ছাদাক্বাহ করতেন, যদিও তা (সামান্য) কেক বা পেঁয়াজ দিয়ে হত।[মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭৩৩৩; ছহীহ ইবনু খুযায়মাহ, হা/২৪৩১; ছহীহ ইবনু হিব্বান, হা/৩৩১০]
6️⃣রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেছেনঃ ‘কোন অভাবগ্রস্ত ব্যক্তিকে সাহায্য করলে সদকার সওয়াব পাওয়া যায়। কিন্তু কোন নিকট আত্মীয়কে সাহায্য করলে একই সঙ্গে সদ্‌কা এবং আত্মীয়তার হক আদায়ের দ্বৈত পূণ্য লাভ করা যায়’। [বুখারীঃ ১৪৬৬, মুসলিমঃ ১০০০]
7️⃣রাসুল (সাঃ) বলেন,কাউকে নিজের সওয়ারীতে চড়িয়ে নিলে সদকাহ করা হয়। অপরের ভারী জিনিস নিজের সওয়ারীতে চাপিয়ে বহন করে দিলে সদকাহ করা হয়।’’[ মুসনাদে আহমাদ আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা. হা/ ২৭৪০০, বুখারী তাওহীদ পাবঃ হা/ ২৮৯১, মুসলিম আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা হা/১০০৯]
কিছু দান করা বা প্রতিবেশীর হক রক্ষায় নিকট প্রতিবেশীর প্রতি আগে দৃষ্টি দেওয়াঃ

1️⃣আয়েশা (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমার দু’টি প্রতিবেশী আছে। এদের মধ্যে কাকে আমি হাদিয়া প্রদান করব? তিনি বললেন, ‘উভয়ের মধ্যে যার বাড়ী তোমার বেশী কাছে তাকে’ (বুখারী, মিশকাত হা/১৯৩৬; বাংলা ৪র্থ খন্ড, হা/১৮৪০)।
2️⃣হাসান (র) থেকে বর্ণিতঃ
তাকে প্রতিবেশী সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, নিজের ঘর থেকে সামনের চল্লিশ ঘর, পেছনের চল্লিশ ঘর, ডানের চল্লিশ ঘর এবং বামের চল্লিশ ঘর তোমাদের প্রতিবেশী।আদাবুল মুফরাদ, [হাদিস নং ১০৮ সনদ হাসান]
3️⃣আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি, ঐ ব্যক্তি মুমিন নয়, যে উদর পূর্ণ করে খায় আর তার পার্শ্বেই তার প্রতিবেশী অভুক্ত থাকে’ (বায়হাক্বী, বাংলা মিশকাত হা/৪৭৭৪)।
4️⃣আবূ যার (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘হে আবূ যার! যখন তুমি তরকারী রান্না কর, তখন একটু বেশি পানি দিয়ে ঝোল বেশি করো এবং তোমার প্রতিবেশীর হক্ব পৌঁছে দাওস[সহীহ মুসলিমঃ২৬২৫ শুআবুল ঈমানঃ৯০৯২ মিশকাত হা/১৯৩৭]
মাঝে মাঝে প্রতিবেশিকে হাদিয়া দেয়াঃ

1️⃣তাই প্রতিবেশী কোন হাদিয়া দিলে তা গ্রহণ করা উচিত, যদি স্পষ্ট হারাম বুঝা না যায়। সতর্কতা সত্ত্বেও সে যদি হারাম উপার্জন থেকে দেয়, তাহলে সে তার বোঝা বহন করবে[সূরা আল-আন‘আম :১৬৪]।
2️⃣রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ‘তোমরা পরস্পর হাদিয়া বিনিময় কর তাতে তোমাদের মাঝে ভালবাসার বন্ধন তৈরী হবে[আল-আদাবুল মুফরাদ, হা/৫৯৪, সনদ হাসান]
3️⃣রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইহুদীদের সাথে লেনদেন করতেন, তাদের হাদিয়া গ্রহণ করতেন। অথচ তারা সূদী কারবার করত। খায়বারের ইহুদী মহিলার পক্ষ থেকে ছাগল হাদিয়া গ্রহণ করেছিলেন[আবূ দাঊদ, হা/৪৫১২, সনদ হাসান)। মৃত্যুর পূর্বে এক ইহুদীর নিকট তার বর্ম বন্ধক রেখেছিলেন (ছহীহ বুখারী, হা/২০৬৯; ছহীহ মুসলিম, হা/১৬০৩]
4️⃣আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) হতে বর্ণিতঃব্যাপারে তাকে প্রশ্ন করা হলে উত্তরে তিনি বলেন, তোমরা তার দাওয়াতে সাড়া দাও। কেননা এ ব্যাপারে আনন্দটা তোমাদের জন্য। আর এর পাপ তার উপর বর্তাবে’ (ইবনু রজব, জামি‘উল ‘উলূমি ওয়াল হিকাম, পৃ. ৭১)।
ইয়াতিম প্রতিবেশির দেখাশুনা করা জান্নাত লাভের কারনঃ

1️⃣সাহ্ল ইবনু সা‘দ (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘আমি আর ইয়াতীম পালনকারী নিজের ইয়াতীম হোক অথবা অন্যের ইয়াতীম হোক- জান্নাতে এভাবে থাকব। তিনি তরজনী ও মধ্যমা আঙ্গুলের মধ্যে সামান্য ফাঁকা রেখে ইশারা করে দেখালেন’[বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪৯৫২; বাংলা ৯ম খন্ড, হা/৪৭৩৫ ‘শিষ্টাচার’ অধ্যায়]
2️⃣আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, একদা এক ব্যক্তি রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট এসে নিজের হৃদয়ের কাঠিন্য সম্পর্কে অভিযোগ করল। তিনি বললেন, ইয়াতীমের মাথায় হাত বুলাও এবং মিসকীনকে খানা খাওয়াও[আহমাদ, মিশকাত হা/৪৯৯১]
3️⃣আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি বিধবা ও মিসকীনের দেখা-শুনা করে, সে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারীর মত এবং দিনে ছিয়াম পালনকারী ও রাতে তাহাজ্জুদ আদায়কারীর মত’[বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪৯৫১]
তবে যে সকল প্রতিবেশী নানাভাবে ক্ষতি করার চেষ্টা করে তাদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করা বৈধঃ

মানুষের ক্ষয়-ক্ষতি থেকে বাঁচার স্বার্থে অথবা কারো কথাবার্তা ও আচার-আচরণ খারাপ হলে তাদের থেকে দূরে থাকার অনুমতি পাওয়া যায় নিম্নোক্ত হাদীস সমূহ থেকে:
1️⃣.আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাঃ)-এর একটি দোয়া হলোঃ “হে আল্লাহ! আমি (আমার ) আবাসস্থলে তোমার নিকট দুষ্ট প্রতিবেশী থেকে আশ্রয় চাই। কেননা দুনিয়ার প্রতিবেশী তো বদল হতে থাকে[নাসাঈ, হাকিম, ইবনে হিব্বান)।আদাবুল মুফরাদ, হাদিস নং ১১৬
হাদিসের মান: হাসান হাদিস]
2️⃣.আয়িশা রাযিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,নিশ্চয়ই কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তা‘আলার নিকট সর্ব নিকৃষ্ট ব্যক্তি সে যাকে অন্যরা পরিত্যাগ করে তার অনিষ্ট থেকে বাঁচার জন্যে’’। [বুখারী ৬০৩২; মুসলিম ২৫৯১]
3️⃣.রাসূল (ﷺ) বলেছেন,
“নিশ্চয় সবচেয়ে নিকৃষ্ট লোক সে-ই যার অশালীনতা থেকে বেঁচে থাকার জন্য মানুষ তার সংশ্রব ত্যাগ করে।” (বুখারী: ৬০৫৪)।
0️⃣#প্রতিবেশীকে কষ্ট দেওয়ার ভয়াবহ পরিণাম বিস্তারিত বর্ননা সহ

1️⃣আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃসে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না যার অনিষ্ট থেকে তার প্রতিবেশী নিরাপদ নয়’’। (মুসলিম ৪৬ সহীহুল জামি‘ ৭৬৭৫, সহীহ আল আদাবুল মুফরাদ ৮৯, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ২৭৫
মিশকাত৪৯৬৩]
2️⃣আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলা হলো: হে আল্লাহ্’র রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! অমুক মহিলা রাত্রিবেলায় নফল নামায পড়ে এবং দিনের বেলায় নফল রোযা রাখে অথচ সে কর্কশভাষী তথা নিজ মুখ দিয়ে অন্যকে কষ্ট দেয়। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: তার মধ্যে কোন কল্যাণ নিহিত নেই। সে জাহান্নামী’’।[মুস্তাদরাকে হা’কিম ৪/১৬৬]
3️⃣আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, একদা জনৈক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! অমুক মহিলা অধিক ছালাত পড়ে, ছিয়াম রাখে এবং দান-ছাদাক্বাহ করার ব্যাপারে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। তবে সে নিজের মুখের দ্বারা স্বীয় প্রতিবেশীদেরকে কষ্ট দেয়। তিনি বললেন, সে জাহান্নামী। লোকটি আবার বলল, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! অমুক মহিলা যার সম্পর্কে জনশ্রুতি আছে যে, সে কম ছিয়াম পালন করে, দান-ছাদাক্বাও কম করে এবং ছালাতও কম আদায় করে। তার দানের পরিমাণ হল পনীরের টুকরা বিশেষ। কিন্তু সে নিজের মুখ দ্বারা স্বীয় প্রতিবেশীদেরকে কষ্ট দেয় না। তিনি বললেন, সে জান্নাতী’[আহমাদ, বায়হাক্বী, বাংলা মিশকাত হা/৪৭৭৫]
4️⃣রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আরো বলেন, আল্লাহ্র কসম! ঐ ব্যক্তি মুমিন নয় (৩ বার), যার অনিষ্টকারিতা হতে তার প্রতিবেশী নিরাপদ নয়[সহীহ বুখারী ও মুসলিম, সহীহুল জামি‘ ৭১০২, সহীহ আত্ তারগীব ২৫৫০, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ৩০০০মিশকাত হা/৪৯৬২]
5️⃣আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলার কাছে সে সঙ্গী-সাথী উত্তম, যে নিজের সঙ্গী-সাথীর কাছে উত্তম। আর আল্লাহর কাছে সে প্রতিবেশী উত্তম, যে নিজের প্রতিবেশীর কাছে উত্তম[সুনানে তিরমিযী ১৯৪৪, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ১০৩০, দারিমী ২৪৩৭, সহীহুল জামি‘ ৫৫৮১মিশকাত হা/৪৯৮৭]
6️⃣ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, এক ব্যক্তি রাসূল (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! আমি কি ভাবে জানতে পারব যে, আমি যা করেছি তা ভাল করেছি বা খারাপ করেছি? তিনি বললেন, যখন তোমার প্রতিবেশীদেরকে বলতে শুনবে যে, তুমি ভাল করেছ, তখন তুমি (বুঝতে পারবে যে) অবশ্যই ভাল কাজ করছ। আর যখন তাদেরকে বলতে শুনবে যে, তুমি খারাপ কাজ করছ, তখন তুমি (বুঝবে যে,) নিশ্চয় খারাপ কাজই করেছ[ইবনু মাজাহঃ৪২২৩ ইবনু হিব্বান ৫২৫, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ১৩২৭মিশকাত হা/৪৯৮৮]
7️⃣আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘এক প্রতিবেশী যেন অপর প্রতিবেশীকে দেয়ালের সাথে খুঁটি গাড়তে নিষেধ না করে’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৯৬৪; বাংলা ৬ষ্ঠ খন্ড, হা/২৮৩৫ ‘ক্রয়-বিক্রয়’ অধ্যায়)
8️⃣আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ (ক্বিয়ামাতের দিন) মানুষের মধ্যে সর্বপ্রথম হত্যার বিচার করা হবে।[মুসলিম ২৮/৮, হাঃ ১৬৭৮, আহমাদ ৩৬৭৪] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৮৯ সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬৫৩৩]
9️⃣উকবা ইবনু আমির (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘ক্বিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম ঝগড়াটে দুই প্রতিবেশীর মুকদ্দমা পেশ করা হবে’ (আহমাদ, বাংলা মিশকাত হা/৪৭৮২)।
🔟উক্ববা বিন আমের (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “কিয়ামতের দিন প্রথম বাদী-প্রতিবাদী হবে দুই প্রতিবেশী।[মুসনাদে আহমাদ ১৭৩৭২, ত্বাবারানী ১৪২৫২, ১৪২৬৮, সহীহ তারগীব ২৫৫৭
হাদিস সম্ভার, হাদিস নং ১৭৮৪]
1️⃣1️⃣আবু মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ কোন ব্যক্তি তার প্রতিবেশী, তার ভাই এবং তার পিতাকে হত্যা না করা পর্যন্ত কিয়ামত হবে না।[আদাবুল মুফরাদ, হাদিস নং ১১৭হাদিসের মান: হাসান হাদিস]
1️⃣2️⃣আবু আমের আল-হিমসী (র) থেকে বর্ণিতঃসাওবান (রাঃ) বলতেন, দুই ব্যক্তি তিন দিনের অধিক কাল সম্পর্কচ্ছেদ করে থাকলে তাদের একজনের সর্বনাশ হবেই। আর সম্পর্কচ্ছেদরত অবস্থায় তারা মারা গেলে উভয়ে সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যে প্রতিবেশী তার অপর প্রতিবেশীকে নির্যাতন করে বা তার সাথে হীন আচরণ করে, ফলে তাতে সে নিজ বাড়ি ত্যাগ করতে বাধ্য হয়, সে ধ্বংস হলো।]আদাবুল মুফরাদ, হাদিস নং ১২৬ সনদ সহীহ]
1️⃣3️⃣ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এমন একটি কাল আমরা অতিবাহিত করেছি যখন কারো নিকট তার মুসলমান ভাইয়ের চেয়ে তার দীনার ও দিরহামের উপযুক্ত প্রাপক আর কেউ ছিলো না। আর এখন এমন যুগ এসেছে যখন দীনার ও দিরহামই আমাদের কারো নিকট তার মুসলমান ভাইয়ের চেয়ে অধিক প্রিয়। আমি নবী (সাঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ অনেক প্রতিবেশী কিয়ামতের দিন তার প্রতিবেশীকে অভিযুক্ত করবে এবং বলবে, এই ব্যক্তি আমার জন্য তার দ্বার রুদ্ধ করে রেখেছিল এবং আমাকে তার সদাচার থেকে বঞ্চিত করেছে।[আদাবুল মুফরাদ, হাদিস নং ১১০
হাদিসের মান: হাসান লিগাইরিহি]
প্রিয় পাঠক উপরোক্ত কুরআনের আয়াত ও হাদীছ সমূহ দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, প্রতিবেশীর হক অত্যাধিক। তাদের সাথে সদাচরণ করা প্রত্যেক মুমিনের অবশ্য কর্তব্য। তাদের কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকা আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশ। খাদ্য আদান-প্রদান ও উত্তম আচরণের মাধ্যমে তাদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা যরূরী। প্রতিবেশীর হক আদায় না করলে এবং তাদের সাথে ভাল ব্যবহার না করলে জান্নাত পাওয়া কঠিন।
[মহান আল্লাহ সবচেয়ে ভাল যানেন ]
✍️উপস্থাপনায়
জুয়েল মাহমুদ (সালাফি)

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন