জেনে নিন মাশরুমের কিছু উপকারিতা

প্রচুর প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, অ্যামাইনো এসিড সমৃদ্ধ, অ্যান্টিক্যান্সার,অ্যান্টিটিউমার, অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল,অ্যান্টিফাংগাল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুন সম্পন্ন হাদিস মতে জান্নাতি খাবার (মান্না সালওয়া, সুরা বাকারা ও মায়েদায় বর্নিত) ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে কিং অব হার্বস, অধিক প্রোটিনের জন্য কারো কারো কাছে সব্জি মাংস নামে পরিচিত মাশরুমের কিছু উপকারিতা নিছে তুলে ধরা হলঃ-
মাশরুমে উপরোক্ত উপাদান সমৃদ্ধ হওয়ায় ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, টিউমার ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধে ও ওজন কমাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে । আমরা প্রতিদিন যেসব খাবার খেয়ে থাকি সেগুলোর চেয়ে মাশরুমের পুষ্টিগুণ তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি বলে এটি শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে শরীরকে সুস্থ রাখে ও নিম্নোক্ত রোগ সমুহ নিরাময় করে।
♦ মাশরুম দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
♦ শরিরে বিদ্যমান টক্সিন / বিষ কে ডিটক্সিন করে।
♦ শরিরে বিদ্যমান ইউরিক এসিডের পরিমান কমায় ফলে শরিরের জ্বালা পোড়া চাবানি কামড়ানি দূর হয়।
♦ অনেক অঙ্গের পয়েন্ট লেভেল নির্ধারন করে।
♦ ডায়াবেটিস এর মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
♦ মাশরুমে বিদ্যমান লিনোলয়িক এসিড হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ করে।
♦ ক্যান্সার ও টিউমার প্রতিরোধ করে।
♦ হেপাটাইটিস বি ও জন্ডিস প্রতিরোধ করে। এনিমিয়া বা রক্ত স্বল্পতা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
♦ হাঁড় ও দাত গঠনে কার্যকরী।
♦ চুল পড়া ও পাকা প্রতিরোধ করে।
♦ মেটাবলিজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে খাদ্য হজম করতে সাহায্য করে থাকে।
♦ নিয়মিত খেলে আমাশয় নিরাময় হয়ে থাকে।
♦ লিভার ও কিডনির রোগ প্রতিরোধ করে লিভার, কিডনি ফাংশন উন্নত করে।
♦ ফ্যাটি লিভার নিরাময় করে।
♦ ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে থাকে।
♦ যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে এবং শক্তিবর্ধ্ক হিসাবে কাজ করে।
♦ বিভিন্ন হরমোন ব্যালান্স করে।
♦ নারী পুরুষের বন্ধ্যাত্য দূর করে।
♦ স্থুলতা বা মেদভূড়ি নিয়ন্ত্রন করে থাকে।
♦ শরিরের অতিরিক্ত কোলেস্টেরল কমায়।
♦ এটি দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করে থাকে।
♦ মানুষের শরীরের রক্ত পরিষ্কার করে এলার্জি / চর্মরোগ প্রতিরোধ করে থাকে।
♦ বাত ব্যাথায় কমায়।
♦ হাড় ক্ষয় প্রতিরোধ করে।
♦ ভাইরাস জনিত রোগের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে থাকে।
♦ হাইপার টেনশন দূর করে থাকে।
♦ মেরুদন্ড দৃঢ় হয় এবং ব্রেইন সুস্থ রাখে।
♦ যক্ষা রোগীর রাতের ঘাম বন্ধ করতে এটি উপকারি।
♦ এছাড়াও গায়ের রং সুন্দর করার জন্য এটি বিশেষ ভাবে উপকারি।
♦ মানুষের বয়স ধরে রাখে অর্থাৎ এন্টি এইজিং হিসাবে কাজ করে।
♦ এটি টক্সিন মুক্ত করে দেহ কোষকে উজ্জিবিত করার মাধ্যমে এটি আভ্যন্তরিন অঙ্গসমুহের সঠিক কার্যকারিতা বজায় রাখে।
♦ মাশরুম রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটায় এবং প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে ও আরো অনেক রোগের জন্য উপকারি।
যদি সুস্থ্য সবল দেহ চান, নিয়মিত মাশরুম খান।
কিডনি, লিভার, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ,
নিয়মিত মাশরুম খেলে হয়ে যাবে মাফ।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন