মুসলমানদের জন্য সকল খাবার হালাল নয়, বরং শুধু পবিত্র ও উপকারী খাবারই হালাল। অপবিত্র ও ক্ষতিকর খাবার গ্রহণ করা নিষেধ। কোনো- কোনো খাবার সরাসরি হারাম এবং কোনো-কোনো খাবার মাকরূহ।
আল্লাহ তা'আলা বলেন-
احل لكم الطيبات
এই আয়াত দ্বারা সকল অপবিত্র ও নোংরা প্রাণী খাওয়া অবৈধ হয়ে গেছে।
অন্য আয়াতে এসেছে-
لا تلقوا بايديكم الى التهلكة
'তোমরা নিজেদেরকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিওনা'- বাকারাহ-১৯৫
এই আয়াত দ্বারা ক্ষতিকর সকাল খাবার গ্রহণ করা অবৈধ হয়ে গেছে।
জর্দা ও সিগারেট যে ক্ষতিকর, এ বিষয়ে দুনিয়ায় কোনো মানুষ, এমন কি কোনো কাফেরও দ্বিমত করে না।
অর্থাৎ জর্দা ও সিগারেট সত্ত্বাগতভাবেই (ফি নাফসিহী) খারাপ জিনিস। এটা ইসলামে হালাল হয় কিভাবে? বরং এটা অবশ্যই অবৈধ।
এটাকে ফরমালিন মিশ্রিত মাছ বা ফল- ফলাদির সাথে তুলনা করা যাবে না। কেননা, মাছ ও ফল সত্ত্বাগত ভাবে খারাপ নয়। বরং এ তুলনা ফাসিদ কিয়াসের অন্তর্ভুক্ত।
তবে হ্যাঁ, এ অবৈধতা হারাম হিসেবে, না কি মাকরূহ তাহরীমী ( হারামের কাছাকাছি) হিসেবে, তা নিয়ে আলেমগণের দুটি মতামত পাওয়া যায়।
একদল আলেম বলেন- জর্দা ও সিগারেট হারাম হওয়ার ব্যাপারে قطعى الثبوت و قطعى الدلالة নস না থাকার কারণে এগুলোকে সরাসরি হারাম বলা যাবে না। আর এগুলোকে সরাসরি খমর বা মদও বলা হয় না। তাই মদের আয়াত দ্বারা এগুলোর নিষিদ্ধতার দলীল দেওয়া যাবে না। তবে এগুলোর ক্ষতি সুস্পষ্ট ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এগুলো অবৈধ খাবারের অন্তর্ভুক্ত।
আরেকদল আলেম- জর্দা ও সিগারেট- এর চরম ক্ষতির দিক বিবেচনা করে, এগুলোকে সরাসরি হারাম মর্মে ফাতাওয়া প্রদান করেছেন।
সুতরাং জর্দা ও সিগারেটকে বৈধ খাবার বলার কোনো সুযোগ নেই।
উল্লেখ্য যে, কোনো আলেম যদি এগুলোকে মুবাহ বা হালাল বলে মতামত দিয়ে থাকেন, সেটা তাঁর ভুল ফাতওয়া। তাই বলে ঐ আলেমকে গালিগালাজ করা, বা কটু কথা বলা- এটাও কিন্তু ইসলামে নিষিদ্ধ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন