ফাইল ছবি - ছবি: সংগৃহীত
আমাদের জীবনে ব্রেইন স্ট্রোক একটি মারাত্মক রোগ। স্ট্রোক হলে একদিকে রোগীদের ও তার স্বজনের মাঝে থাকে মৃত্যুর বিভীষিকা। যাদের মৃত্যু না হয় তাদের প্যারালাইসিস হবার মতো একটা অন্ধকারাচ্ছন্ন অবস্থা বিরাজ করে।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, মানুষের জীবনে খাদ্যাভ্যাসের নিয়ন্ত্রণ ও কর্মক্ষমতার নিয়মিত সঠিক পরিচর্যা না করলে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।
গবেষণায় উঠে এসেছে, আমেরিকার মতো জায়গায় বছরে অন্তত ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ স্ট্রোকে মারা যান। আর প্রতি বছর ৭ লাখ ৯৫ হাজার স্ট্রোক রোগে আক্রান্ত হন। বাংলাদেশেও দিনদিন বাড়ছে এই রোগ ও এতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা। তাই হার্ট অ্যাটাক সম্পর্কে জেনে আগেই সচেতন হবার পরামর্শ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসদের।
এ ব্যাপারে দেশের প্রখ্যাত নিউরোসার্জন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া ডক্টর টিভিকে বলেন, আমাদের জিডিপি বা বাৎসরিক মাথাপিছু আয় বেড়ে যাওয়ার ফলে আমরা আগের চেয়ে বেশি ব্যস্ত জীবনযাপন করছি। এ কারণে আগের যে খাদ্যাভ্যাস ও কর্মক্ষমতা ছিলো সেটার আমরা সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে পারছিনা। আমাদের লাইফস্টাইল অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। এটার কারণে স্ট্রোকের ঝুঁকি আগের চেয়ে অনেক বেড়ে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা খাবারের সময় দেখা যায় রিচ ফুড বা ফাস্টফুড বেশি খাই। যাতে কোলেস্টরেলের মাত্রা বেশি থাকে। এর প্রভাবে আমাদের ব্লাডপ্রেশার ও ডায়াবেটিস হয়।
স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে বিএসএমএমইউ ভিসি বলেন, ‘আমরা হাঁটাচলা কম করি। একটুতেই গাড়িতে করে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাই। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে প্রতিদিন যে পরিমাণ হাঁটাচলা, ব্যায়াম ও শারীরিক পরিশ্রম করা উচিত তা আমরা করি না। এসব কারণেও স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। আমাদের বিভিন্ন বদঅভ্যাস ধুমপান এবং ড্রিংক করা। এটাও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। এছাড়া, আমাদের নাগরিক জীবনে যে ব্যস্ততম চলাফেরা ও টেনশন ব্লাড প্রেশারের মাত্রা বাড়ায়। যা পরবর্তীতে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। স্ট্রোককে আমরা হার্টের রোগ ভেবে ভুল করি।
এ প্রসঙ্গে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এম. এস. জহিরুল হক চৌধুরী ডক্টর টিভিকে বলেন, স্ট্রোক ব্রেনের রোগ, হার্টের রোগ নয়। আমরা প্রথমেই হার্টের রোগ ভেবে বলি স্ট্রোক করেছে। এটা বলে আমরা হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে অথবা হার্টের কোনো হসপিটালে চলে যাই। আবার কখনো কার্ডিওলজিস্ট অথবা হার্ট হাসপাতালে চলে যাই। এ বিষয়ে জনসচেতনতা প্রয়োজন। আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারপর রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
সূত্র: ডক্টর টিভ ি
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন