ছবি - সংগৃহীত। রেহনুমা তারান্নুম তারুণ্য সবসময় ফ্যাশনপ্রিয়। তারা বৈচিত্র্য আনতে চায় তাদের আউটলুকে। সচেতনও থাকে সবকিছু নিয়ে। তাই তারা ভাবে সময় ও পরিবেশ নিয়ে। শীতের মৃদু হাওয়া বইতে না বইতেই তাদের ভাবনা শুরু হয় নানা সোয়েটার নিয়ে। রংমিশালি কারুকাজ ও ভিন্নমাত্রার সোয়েটারের খোঁজে তারা যেন খুঁজে ফেরে বিপণিবিতানে। শীতের সন্ধ্যায় ঠাণ্ডা আমেজ সঙ্গে গরম গরম ভাপা পিঠা, তার সঙ্গে পরনে যদি থাকে পছন্দসই সোয়েটার তাহলে শীতকে উপভোগ করা যায় আরো দারুণভাবে। এই ঋতুতে উপযুক্ত পোশাক অবশ্যই চাই। শাল, চাদর, লেপ, কাঁথা ইত্যাদি নানা গরমোপযোগী পোশাকের মধ্যে তারুণ্যের অন্যতম প্রিয় পোশাক সোয়েটার। শীত হাজির হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উপভোগ করা শুরু হয়েছে এর আমেজও। একটা সময় মানুষের ছিল চাদরের প্রতি ঝোঁক। তবে এখন চলছে সোয়েটারের ট্রেন্ড। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েদের কাছে বেশ ফ্যাশনেবল পোশাক। যে কোনো ড্রেসের সঙ্গে মানিয়ে পরা যায়। স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহারের জন্যও তার জুড়ি মেলা ভার। স্টাইল হলো মননশীলতা এটা যে যেভাবে খুশি ফুটিয়ে তুলতে পারে। চলতি ট্রেন্ডে সোয়েটার খুব বেশি গ্রহণযোগ্য এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সুমাইয়া বলেন, প্রতিদিনই আমাকে বাসার বাইরে যেতে হয় আর শীতের দিনে সোয়েটারই আমার প্রধান সঙ্গী। নানা ডিজাইনে পাওয়া যায় বলে সোয়েটার আমার কাছে বেশি প্রিয়। এই সোয়েটার প্রিয়তার কথা জানাতে গিয়ে বলেন সে নরমাল সালোয়ার-কামিজ বা চুড়িদারের সঙ্গে বোট নেক বা ভি নেকের সোয়েটার পরেন। জিন্স টি-শার্টের সঙ্গে স্ট্রাইপের টারটল নেক এবং হুডি পরে। এই পোশাকের জন্মবৃত্তান্ত জানতে গিয়ে জানা গেল, মধ্যপ্রাচ্য বা পারস্যে এর জন্ম। আবার কারো কারো মতে, উত্তর আফ্রিকায় এর জন্ম। তবে সোয়েটারের যে প্রধান উপকরণ উল, তার উৎপত্তি মিসরে। সে দেশের রাজাদের টোম্ব থেকে উলের স্টক পেয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। প্রথমে উলের যে পোশাক তৈরি করা হয়, তা কোমর থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত হতো। আগে শুধু প্রয়োজনের তাগিদেই ব্যবহার করা হতো। এর আলাদা করে কোনো ডিজাইন করা হতো না। বিংশ শতাব্দী থেকে সোয়েটার ফ্যাশনেবল হয়ে উঠেছে। মিসরে যে উল পাওয়া যেত, তা নানা রঙের হতো। আর সোয়েটারের ফ্যাশন শুরু হয় সতেরো শতাব্দীতে। তবে মজার ব্যাপার হলো, গত ১০ বছরে সোয়েটার যেভাবে সারাবিশ্বে ফ্যাশনেবল আকারে উপস্থাপিত হয়েছে, এর আগে কখনোই হয়নি। ডিজাইনারদের মতে, সোয়েটার বিভিন্ন ডিজাইনের হয়ে থাকে। ফুলফ্লিভ, হাফস্লিভ বা স্লিভলেস। কি ধরনের সোয়েটার পরবেন, তা পোশাকের ওপর নির্ভর করে। উলের সোয়েটারের পাশাপাশি ফ্লিচ কাপড়ের, নেটের ভেতর ফ্লিচ ডাবল চেম্বার এগুলো বেশ চলছে এখন। লং সোয়েটার, হাফ সোয়েটার পাওয়া গেলেও হুডি এখন তরুণ-তরুণীদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। জিন্সের সঙ্গেও মানায়। টারটল নেক, বোট নেক, ভি নেকও অনেকের পছন্দ। গোল গলার সোয়েটার প্রায় সব বয়সের মানুষ পরতে পারেন। সোয়েটার পরাতে যেমন সচেতন হতে হবে তেমনি এটা সংরক্ষণেও হতে হবে সচেতন। এর কিছু নিয়ম জানা থাকলে সোয়েটার ভালোভাবে সংরক্ষণ করা যায়। সোয়েটার ড্রাইওয়াশ করলে উজ্জ্বলতা হারানোর সম্ভাবনা কম থাকে। ধোয়ার পর নিংড়ানো উচিত নয়, উলের সোয়েটার ঝুলিয়ে শুকালে ঝুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। শীত শেষ হয়ে যাওয়ার পর সোয়েটার হালকা ধুয়ে যত্ন করে রাখুন। সূত্র: মানবকণ্ঠ |
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন