যারা পথভ্রষ্ট আলেম এবং ভ্রান্ত নেতাদের অনুসরণ করে তাদের সম্পর্কে পবিত্র কোরআন ও হাদিসের সতর্কবার্তা


1️⃣বাপ দাদার নেতার অনুসরণ করে, নেতার আনুগত্য করে কিংবা অন্য কারো অনুসরণ করে যারা আল্লাহর নাফরমানী করে তাদেরকে এজন্য অনুশোচনা করতে হবে৷ আল্লাহ তায়ালা বলেন,
তারা বলবে, হে আমাদের পালনকর্তা, আমরা আমাদের নেতা ও বড়দের কথা মেনেছিলাম, অতঃপর তারা আমাদের পথভ্রষ্ট করেছিল।
হে আমাদের পালনকর্তা! তাদেরকে দ্বিগুণ শাস্তি দিন এবং তাদেরকে মহা অভিসম্পাত করুন।
[সুরা আহযাবঃ ৬৭-৬৮]
2️⃣অন্য আয়াতে বলেনঃ
অপরাধীরা সেদিন একে অন্যকে বলবে
আর আমরা তোমাদেরকে বিভ্রান্ত করেছি, কারণ আমরা নিজেরাই ছিলাম বিভ্রান্ত’। [সূরা সফফাতঃ৩২]
3️⃣যালিম ব্যাক্তি সেদিন নিজের দু‘হাত দংশন করতে করতে বলবে, ‘হায়, আমি যদি রাসূলের সাথে কোন পথ অবলম্বন করতাম [সূরা ফুরকানঃ২৭]
4️⃣হায়, দুর্ভোগ আমার, আমি যদি অমুককে বন্ধুরুপে গ্রহণ না করতাম![সূরা ফুরকানঃ২৮]
উপরোক্ত আয়াতে যালিম ব্যাক্তি বলতেঃ মুশরিক, কাফের, মুনাফিক ও সীমালঙ্ঘনকারী অবাধ্যদের বুঝানো হয়েছে। [দেখুন-সা‘দী]
5️⃣স্মরণ করো ওই দিনের কথা, যেদিন আমি মানুষের প্রতিটি দলকে তাদের ‘ইমাম’সহ ডাকব। (সেদিন) যাদের আমলনামা ডান হাতে দেওয়া হবে, তারা নিজেদের আমলনামা পাঠ করবে। তাদের ওপর সামান্য পরিমাণও জুলুম করা হবে না[সুরা বনি ইসরাঈলঃ৭১]
6️⃣মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর যার আমলনামা বাঁ হাতে দেওয়া হবে, সে বলবে—হায়! আমাকে যদি আমার আমলনামা না দেওয়া হতো, আর আমি যদি না জানতাম আমার হিসাব। হায়! আমার মৃত্যুই যদি আমার (সব কিছুর) শেষ হতো।[সুরা হাককাহঃ২৫-২৭]
7️⃣কাফের বলবেঃ হায়, আফসোস-আমি যদি মাটি হয়ে যেতাম।[সুরা নাবাঃ ৪০]
8️⃣আমাদের অনেকেই নেক আমলের মুল্য বুঝি না৷ তাই নেক আমলের প্রতি তেমন কোন আগ্রহবোধ করি না৷ পরকালে যখন নেক আমলের মুল্য বুঝে আসবে দুনিয়াতে নেক আমলের ব্যাপারে যারা অবহেলা করেছে তারা আফসোস করতে থাকবে৷ আল্লাহ তায়ালা বলেন সে বলবেঃ হায়, এ জীবনের জন্যে আমি যদি কিছু (নেক আমল) অগ্রে প্রেরণ করতাম![সুরা ফাজরঃ ২৪]
9️⃣নবী ﷺ বলেছেন, “নিশ্চয়ই আমি আমার উম্মাহ্-এর জন্য কোন কিছুরই ভয় করি না, পথভ্রষ্ট ’আলিমগণ ব্যতীত। এভাবে, যখন আমার উম্মাহ্-এর বিরুদ্ধে তলোয়ার উঠানো হবে, এটা তুলে নেওয়া হবে না বিচার দিবস পর্যন্ত।” -মুসনাদ আহমাদ, হাদীসঃ নং. ১৬৪৯৩, ২১৩৬০, ৩১৩৫৯, ২০৩৩৪, এবং, আদ্-দারিমী, হাদীস নং. ২১১ ও ২১৬।]
🔟আবু যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এক ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়কে ভালোবাসে, কিন্তু কার্যত তাদের সাথে মিলিত হতে পারছে না। তিনি বলেনঃ হে আবু যার! তুমি যাকে ভালোবাসো তারই সাথে হবে। আমি বললাম, আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে ভালোবাসি। তিনি বলেনঃ হে আবু যার! তুমি যাকে ভালোবাসো তার সাথেই থাকবে (আবু দাউদ, আহমাদ, দারিমী, ইবনে হিব্বান)।আদাবুল মুফরাদ, হাদিস নং ৩৫২ হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
1️⃣1️⃣হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ “প্রত্যেক মানুষ (অভ্যাসগতভাবে) বন্ধুর ধর্ম ও চালচলন অবলম্বন করে। তাই কিরূপ লোককে বন্ধুরূপে গ্ৰহণ করা হচ্ছে, তা পূর্বেই ভেবে দেখা উচিত।” [আবু দাউদঃ ৪৮৩৩, তিরমিযীঃ ২৩৭৮, মুসনাদে আহমাদঃ ২/৩৩৪]
1️⃣2️⃣রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি এমন কোন জ্ঞান অর্জন করল, যার দ্বারা আল্লাহ আয্যা অজাল্লার সন্তুষ্টি লাভ করা যায়,তা সে কেবল পার্থিব স্বার্থ লাভের উদ্দেশ্যে অর্জন করল,কিয়ামতের দিন সে ব্যক্তি জান্নাতের সুগন্ধ পর্যন্ত পাবে না।[আবূ দাউদ ৩৬৬৪,ইবনু মাজাহ ২৫২, আহমাদ ৮২৫২]
1️⃣3️⃣রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেন-“(ফিতনার যুগে) কিছু লোক এমন হবে, যারা জাহান্নামের দরজার দিকে মানুষকে দাওয়াত দিবে (অর্থাৎ তাদের দাওয়াত এমন ভ্রষ্টতাপূর্ণ হবে,যা জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাবে); যারা তাদের ডাকে সাড়া দিবে তাদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবে[সহীহ বুখারীঃ হাদীস নং-৩৩৩৬, ৬৬৭৯]
উপস্থাপনায় জুয়েল মাহমুদ [সালাফি]

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন