
মুক্তির আগেই ছবিটি নিয়ে কাড়াকাড়ি পড়ে গেছে। প্রচারস্বত্ব কারা পাবে—নেটফ্লিক্স না অ্যাপল? এ নিয়ে রীতিমতো নিলামযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। স্ট্রিমিং স্বত্বের দর উঠেছে ৮০ মিলিয়ন ডলার, যা আগের রেকর্ড ছাপিয়ে গেছে। কেউ কেউ বলছেন, দর আসলে ৯৫ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত উঠেছে। হলিউডের তুখোড় ট্যালেন্ট এজেন্ট সু মেঙ্গার্সের জীবন নিয়ে তৈরি হচ্ছে এই ছবি। চরিত্রটি করছেন জেনিফার লরেন্স, মেঙ্গার্সের চেহারার সঙ্গে তাঁর আশ্চর্য মিল রয়েছে। অনেকেই বলছেন, জেনিফারকে আবার অস্কার এনে দিতে পারে এই ছবি।
ষাট থেকে আশির দশকের শুরু পর্যন্ত হলিউডের নতুন প্রজন্মের নির্মাতা ও অভিনেতাদের ট্যালেন্ট এজেন্ট ছিলেন সু মেঙ্গার্স। ফে ডানাওয়ে, স্টিভ ম্যাককুইন, বার্ট রেনল্ডস, চের, জোয়ান কলিন্স, বারবারা স্ট্রেইস্যান্ডের মতো তারকাদের এজেন্ট ছিলেন তিনি।

জার্মানির হামুবর্গে একটি ইহুদি পরিবারে জন্ম মেঙ্গার্সের। ইহুদি নিধন থেকে বাঁচতে একটি জাহাজে করে পালিয়ে নিউইয়র্কে চলে যান তিনি। ১৯৫৫ সালে একটি ট্যালেন্ট এজেন্সি কোম্পানিতে রিসিপশনিস্ট হিসেবে চাকরি নেন। ধীরে ধীরে এই অঙ্গনের সঙ্গে পরিচিত হয়ে ওঠেন মেঙ্গার্স।
তাঁর সাবেক এক সহকর্মীর তৈরি এজেন্সিতে ট্যালেন্ট এজেন্ট হিসেবে কাজ শুরু করেন। তাঁর প্রথম গ্রাহক ছিলেন মঞ্চাভিনেত্রী জুলি হ্যারিস। ষাটের দশকের শেষ দিকে বুটিক এজেন্সি ক্রিয়েটিভ ম্যানেজমেন্টস অ্যাসোসিয়েটসে তাঁকে নিয়ে আসা হয়। তখন তিনি কাজ করেন পল নিউম্যান, স্টিভ ম্যাককুইন ও রবার্ট রেডফোর্ডের মতো তারকাদের সঙ্গে। ২০১১ সালে ক্যালিফোর্নিয়াতে মারা যান সু মেঙ্গার্স।

পুলিৎজার পুরস্কারজয়ী সাংবাদিক ও লেখক টেরেসা কার্পেন্টারের উপন্যাস মব গার্ল: আ উইম্যানস লাইফ ইন দ্য আন্ডারওয়ার্ল্ড অবলম্বনে তৈরি হতে যাওয়া ছবিটি পরিচালনা করবেন অস্কারজয়ী পাওলো সোরেন্টিনো। প্রযোজনা করছে জেনিফার লরেন্সেরই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এক্সিলেন্ট ক্যাডাভার।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন